ম্যাচের বাকি ছিল কয়েক সেকেন্ড। যোগ করা সময়ের সেই কয়েক সেকেন্ড শেষ হলেই ড্রয়ে মাঠ ছাড়তেন বাংলাদেশ ও নেপালের মেয়েরা। ম্যাচে তখন ২-২ সমতা। বাংলাদেশের সমর্থকরা উৎকণ্ঠায়। ঠিক তখনই বাংলাদেশের শেষ চেষ্টা। উমেলা মারমা বল ক্রস করলেন। আর বক্সের ভেতরে তাতে দারুণভাবে পা ছুঁয়ে জাল খুঁজে নিলেন তৃষ্ণা রানী। বাংলাদেশ পেলো রোমাঞ্চকর জয়। দারুণ এক গোলের সঙ্গে দলের ৩ পয়েন্ট নিশ্চিতও হলো বাংলাদেশের।
সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল করে নেপালকে ৩-২ ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ। ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন বাংলাদেশের ইনফর্ম স্ট্রাইকার মোসাম্মৎ সাগরিকা। ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন নেপালের এক খেলোয়াড়ও।
আসরে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন প্রতিপক্ষ তিন দলই। তবে আসর শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে লড়াইয়ের কথাও বলেছিলেন নেপালিরা। রোববার (১৩ জুলাই) মাঠের খেলায় তাই দেখালো নেপাল।
কিংস অ্যারেনাতে অনেকটা সমানে সমান লড়াই হয়েছে। প্রথমে বাংলাদেশের নাগালে ম্যাচ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে নৈপুণ্য দেখায় নেপাল। শিখা জাহান ও সাগরিকার গোলে প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোলই শোধ করে দেয় নেপাল। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এসে বাংলাদেশকে জয়ের আনন্দে ভাসান তৃষ্ণা রানী।
রাতে ম্যাচের শুরুতে স্বপ্না রানীর উড়ে আসা কর্নারে মুনকি আক্তারের হেড আফঈদা খন্দকারের পা ছুঁয়ে যাওয়া বলে সাগরিকা ঠিকঠাক শট নিতে না পারায় সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। ১১তম মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় বাংলাদেশ। শান্তি মার্ডির ব্যাক পাস ক্লিয়ার করতে গোলকিপার স্বর্ণার নেয়া শট নেপালের সুপ্রিয়ার গায়ে লেগে পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে যায়।
এরপর ১৪ মিনিটে সিনহা জাহান শিখার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। শান্তি মার্ডির ক্রস পেয়ে দুই দফায় গোলকিপারের গায়ে মারেন শিখা। তৃতীয় দফায় সেই বল জালে পাঠান আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা সাগরিকা।
আগামী ১৫ ও ১৭ই জুলাই পরপর দুই ম্যাচে ভুটানের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফের ১৯শে জুলাই শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২১শে জুলাই আফঈদারা নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে খেলবে।