ডোমখালী সমুদ্র সৈকতে যা দেখে চোখ জুড়াবেন


Press Desk BD প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৭, ২০২৪, ৪:২১ অপরাহ্ন
ডোমখালী সমুদ্র সৈকতে যা দেখে চোখ জুড়াবেন

একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে সাগর। একইসঙ্গে ঝাউবন, লাল কাকড়ার চর, উত্তাল সাগরে নৌকা ভেসে বেড়ানো, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, হরিণের পদচিহ্ন সবই দেখতে পাবেন মিরসরাই উপজেলার ডোমখালী সমুদ্রসৈকতে গেলে।

চাইলে একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন এই সমুদ্রসৈকত থেকে। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার এক্কেবারে দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত ভ্রমন পিপাসু মানুষদের কাছে পরিচিত স্পটের নাম ডোমখালী সমুদ্রসৈকত। এটি ডোমখালী বিচ নামেও পরিচিত। শুধু দিনে নয়, রাতেও সাগর পাড়ে দেখা মেলে অসংখ্য মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকারের।

পূর্ণিমার রাতে সেখানে তরুণদের ঢল নামে। মিরসরাই থেকে এই সমুদ্র সৈকতের দুরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। উপজেলার শাহেরখালী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় সমুদ্র সৈকতের আবিষ্কার করছে স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসুরা। প্রতিদিন ভিড় করেন পর্যটকরা। দেখতে অনেকটা পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের মতোই এটি।

এই সমুদ্র সৈকতের আশপাশে দেখবেন সবুজের সমারোহ, পাখিদের কোলাহল, কিছুদূর পর পর সাগরের সঙ্গে মিশে যাওয়া ছোট ছোট খালের অবিরাম বয়ে চলা, বাঁধের পূর্বে গ্রামীণ জনপদ আর দক্ষিণে সাগরের কোল জুড়ে ম্যানগ্রোভ বন।

একই সঙ্গে জেলেদের ব্যস্ততা, সাগর থেকে মাছ নিয়ে জেলেদের ফেরা। কেউ জাল বুনে অবসরে, কেউ আবার উত্তাল সাগরে নৌকা ভিড়ায়। লাল কাঁকড়া, সাগরের বিভিন্ন জাতের কাঁকড়া ভেজা মাটিতে ছোট ছোট গর্তে মুখ তুলে থাকে।

সবুজ বনায়নজুড়ে হরিণের পায়ের পদচিহ্ন। সকালের সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করে সাগরের ঢেউ। বিকেলে মিষ্টি রোদ আর সূর্যাস্তের সৌন্দর্য মন কেড়ে নেবে যে কারো।

কীভাবে যাবেন?

ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের যে কোনো স্থান থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়দারোগাহাট নেমে সিএনজি যোগে একেবারে সাগরপাড়ে যাওয়া যাবে। জনপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়া নেবে।

রিজার্ভ নিলে পড়বে ২০০-২৫০ টাকা। এছাড়া নিজামপুর কলেজের সামনে নেমে সেখান থেকেও সিএনজি যোগে যাওয়া যাবে। তবে এক-দুজন হলে মোটরসাইকেলেও যেতে পারে।

কোথায় থাকবেন ও খাবেন?

ডোমখালী সমুদ্র সৈকত এলাকায় থাকা ও খাওয়ার জন্য এখনো কোনো রেস্টুরেন্ট বা আবাসিক হোটেল গড়ে ওঠেনি। খাবারের জন্য ছোট কমলদহ বাজারের বিখ্যাত ড্রাইভার হোটেল আছে। যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।

থাকার জন্য পর্যটন এলাকা থেকে ঘণ্টাখানেকের দুরত্বে চট্টগ্রাম শহরের এ কে খাঁন মোড়ে মায়ামী রিসোর্ট ও অলংকার মোড়ে রোজভিও, সুইটড্রিম আবাসিক হোটেল আছে।

ভ্রমণ বিভাগের আরো খবর

আরও খবর