চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহ-সভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদসহ ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতেই ভূমিধস জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত “সম্প্রীতির শিক্ষার্থী” জোট প্যানেল।

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের বাইরে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক এবং সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন তামান্না মাহবুব প্রীতি।

অফিসিয়াল ফলাফল অনুযায়ী, ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ নামের ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন-ইব্রাহিম হোসেন রনি (ভিপি), সাঈদ বিন হাবিব (জিএস), মোহাম্মদ শাওন (খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক), হারেজুল ইসলাম (সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক), জিহাদ হোসাইন (সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক), আবদুল্লাহ আল নোমান (দপ্তর সম্পাদক), জান্নাতুল আদন নুসরাত (সহ-দপ্তর সম্পাদক), নাহিমা আক্তার দ্বীপা (ছাত্রী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক), জান্নাতুল ফেরদৌস রিতা (সহ-ছাত্রী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক), মাহবুবুর রহমান (বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক), তানভীর আঞ্জুম শোভন (গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ক সম্পাদক), তাহসিনা রহমান (সমাজসেবা ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক), আফনান হাসান ইমরান (স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক), মোনায়েম শরীফ (মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক), মেহেদী হাসান সোহান (ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), মো. ইসহাক ভূঁঞা (যোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক), ওবায়দুল সালমান (সহ-যোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক), ফজলে রাব্বি তৌহিদ (আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক) ও মাসুম বিল্লাহ (পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক)।

এছাড়া নির্বাহী সদস্যের পাঁচটি পদের সবকটি জিতে নিয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। বিজয়ীরা হলেন-আকাশ দাশ, আদনান শরীফ, জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা, সোহানুর রহমান ও সালমান ফারসী।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি পেয়েছেন ৭ হাজার ২২১ ভোট, জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯৫ ভোট এবং এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১ ভোট।

গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। চাকসুর ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েন ৪৯৩ জন প্রার্থী।

যদিও সারাদিনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, ফলাফল ঘোষণার আগে কয়েক স্থানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মুক্ত হন।

এ ছাড়া রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থকদের সমর্থনে যথাক্রমে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করলেও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।